শ্রীবরদী সরকারি কলেজের সহকারী অধ্যাপক (রসায়ন) রিফাত আহমেদ এর আকস্মিক বদলি আদেশকে কেন্দ্র করে কলেজজুড়ে চলছে তীব্র ক্ষোভ ও উত্তেজনা। তাঁকে শ্রীবরদী সরকারি কলেজ থেকে বদলি করে শেরপুর সরকারি মহিলা কলেজে প্রেরণের সিদ্ধান্তে বর্তমান ও প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের মধ্যে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে।
শিক্ষার্থীদের দাবি এই বদলি কোনো স্বাভাবিক প্রক্রিয়ার অংশ নয়, বরং কলেজের এক সাবেক অধ্যক্ষের ব্যক্তিগত আক্রোশ থেকেই এ আদেশ বাস্তবায়ন করা হয়েছে।তারা বলছেন কেবল একজনের ব্যক্তিগত রাগের কারণে হাজারো শিক্ষার্থীর ভবিষ্যৎ বন্ধ হয়ে যেতে পারে না।
স্বপ্ন গড়ার কারিগর, হিসেবে পরিচিত রিফাত আহমেদ
শিক্ষার্থীদের মতে, শ্রীবরদী সরকারি কলেজের শিক্ষার মান উন্নয়ন, শিক্ষার্থীদের দক্ষতা বৃদ্ধি এবং পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির ক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় অবদান রেখেছেন রিফাত আহমেদ স্যার।
গত কয়েক বছরে এই কলেজ থেকে প্রতিবছর ৪০ জনেরও বেশি শিক্ষার্থী দেশের বিভিন্ন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়ার সুযোগ পেয়েছে যা একসময় ছিল কেবল স্বপ্ন। বিভিন্ন পাবলিক ইউনিভার্সিটিতে অধ্যায়নরত প্রাক্তন শিক্ষার্থীরা বলেন,এসব অর্জনের পেছনে সবচেয়ে বড় শক্তি ছিলেন রিফাত স্যার।
বদলি আদেশের খবর ছড়িয়ে পড়ার সঙ্গে সঙ্গে আজ সকাল ৯টা ৩০ মিনিটে কলেজ গেটে তীব্র প্রতিবাদের মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল আয়োজন করেন। এতে বিপুল সংখ্যক শিক্ষার্থীরা অংশ নেন।
শিক্ষার্থীরা স্লোগান দেন—
বদলি মানি না, স্যারকে ফেরত চাই।
রিফাত স্যার না থাকলে স্বপ্ন থেমে যাবে।
বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা স্পষ্টভাবে জানিয়ে দিয়েছেন—
বদলি আদেশ প্রত্যাহার না হওয়া পর্যন্ত চলমান প্রি-টেস্ট পরীক্ষা এবং সকল ক্লাস কার্যক্রম অনির্দিষ্টকালের জন্য বর্জন করা হবে।
প্রাক্তন শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরাও রিফাত আহমেদের বদলিকে “অযৌক্তিক”, “কলেজবিরোধী” এবং “শিক্ষার্থী স্বার্থবিরোধী” বলে মন্তব্য করেছেন।
শিক্ষার্থীরা বলছেন রিফাত আহমেদ স্যার কলেজের শুধু একজন শিক্ষক নন; তিনি ছিলেন অনুপ্রেরণা, স্বপ্ন দেখানোর মানুষ। তাঁকে সরিয়ে দিলে দীর্ঘদিন ধরে চলা উন্নয়ন থমকে যাবে।
একজন প্রাক্তন শিক্ষার্থী বলেন
আমরা যারা সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ছি, আমাদের পথচলার পেছনে স্যারের ভূমিকা সবার চেয়ে বেশি। তার এমন বদলি কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায় না।
বদলি আদেশ প্রত্যাহারের দাবি
শিক্ষার্থীরা সরকারের কাছে জোর দাবি জানিয়েছেন রিফাত আহমেদ স্যারের বদলি আদেশ অবিলম্বে স্থগিত ও প্রত্যাহার করতে হবে।
তারা আরও জানান,
দাবি পূরণ না হলে আরও কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।

মোহাম্মদ আরমান, স্টাফ রিপোর্টার