‘এসো আলো ছড়াই শেরপুরে’ এ প্রতিপাদ্যে শেরপুরের সীমান্তবর্তী গারো পাহাড়ি এলাকায় হয়ে গেল শেরপুর হাফ ম্যারাথন-২০২৫।
শুক্রবার সকালে শেরপুর রানার্স কমিউনিটির উদ্যোগে ঝিনাইগাতী উপজেলার রাংটিয়া উচ্চ বিদ্যালয় মাঠ থেকে এই প্রতিযোগিতা শুরু হয়।
বিপুল উৎসাহ-উদ্দীপনায় স্থানীয়রাসহ এতে অংশ নেন দেশি-বিদেশি প্রায় আটশো রানার। প্রতি বছরই গারো পাহাড়ে এমন আয়োজনের দাবি জানিয়েছেন অংশগ্রহণকারীরা।
দেশের সীমান্তবর্তী অপরূপ সৌন্দর্যমণ্ডিত জেলা শেরপুরের গারো পাহাড়ি ট্র্যাকে যেন দেশি-বিদেশি রানার্সদের মেলা বসেছিল শুক্রবার। এদিন গারো পাহাড়ের প্রাণ-প্রকৃতি রক্ষায় জনসচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে শেরপুর রানার্স কমিউনিটির উদ্যোগে আয়োজন করা হয় শেরপুর হাফ ম্যারাথন প্রতিযোগিতার।
শুক্রবার ভোরে ঝিনাইগাতীর রাংটিয়া উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে সারাদেশ থেকে রানার্সরা এসে জড়ো হন। এতে ২১.১ কিলোমিটার, ১০ কিলোমিটার, ৫ কিলোমিটার ও এক কিলোমিটার- এ চারটি ক্যাটাগরিতে জাতীয় ও স্থানীয় পর্যায়ের প্রায় আটশো প্রতিযোগী অংশ নেন। সীমান্তবর্তী পাহাড়ি এ জেলার সবুজ প্রকৃতি, নির্মল বাতাস ও শান্ত পরিবেশে ঘেরা আঁকাবাঁকা রাস্তায় দৌড়ানোর অভিজ্ঞতায় এমন আয়োজনে খুশী রানাররা।
এ হাফ ম্যারাথন জেলার পর্যটনের উন্নয়নে ও জনসচেতনতা বাড়াতে ইতিবাচক ভূমিকা রাখবে বলে আশা ব্যক্ত করলেন অংশগ্রহণকারী দেশসেরা রানার্সরাও।
প্রতিযোগিতায় শিশু, শারীরিক প্রতিবন্ধী, বেদে পল্লী, তৃতীয় লিঙ্গের মানুষসহ সমাজের পিছিয়ে পড়া মানুষদের অংশগ্রহণ আলাদা নজর কাড়ে।
ম্যারাথনে উপস্থিত ছিলেন- জেলা প্রশাসক তরফদার মাহমুদুর রহমান, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাদের মধ্যে শেরপুর-২ (শ্রীবরদী-ঝিনাইগাতী) আসনের বিএনপির প্রার্থী ও সাবেক এমপি মাহমুদুল হক রুবেল, বিএনপি নেতা মো. হযরত আলী, শেরপুর-১ (সদর) আসনের বিএনপির প্রার্থী সানসিলা জেবরিন প্রিয়াঙ্কা এবং জামায়াতের প্রার্থী হাফেজ রাশেদুল ইসলাম, জেলার বিশিষ্ট সমাজসেবক ও ডায়াবেটিক সমিতির সভাপতি রাজিয়া সমাজ ডালিয়া, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও স্পন্সর জাকির হোসেন বাচ্চুসহ আরও অনেকে।
প্রতিযোগিতা শেষে বিজয়ী ও অংশগ্রহণকারীদের মাঝে পুরস্কার হিসেবে মেডেল, ক্রেস্ট ও প্রাইজমানি তুলে দেন আয়োজক নেতা এবং আমন্ত্রিত অতিথিরা।

শেরপুর প্রতিনিধি