কক্সবাজারের ঈদগাঁওতে রাজনৈতিক প্রভাব ব্যবহার করে একই নামে দুটি কীটনাশক দোকান পরিচালনার অভিযোগ উঠেছে বিএনপি নেতা নুরুল আলমের বিরুদ্ধে। স্থানীয় সূত্রের খবর, তিনি এক লাইসেন্স ব্যবহার করে দীর্ঘদিন ধরে ভিন্ন দুটি স্থানে দোকান চালাচ্ছেন।
নুরুল আলম, যিনি জালালাবাদ ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি , পরিচালনা করছেন “ঈদগাঁও বীজ ভাণ্ডার ও এডভাইস সেন্টার” নামে দুটি দোকান। একটির অবস্থান ঈদগাঁও বাস স্টেশন এলাকায়, আর অপরটি ঈদগাহ বাজারের পাইপ বাজারে।
স্থানীয় ব্যবসায়ী ও কৃষকরা অভিযোগ করেছেন, দুই দোকানেই একই নাম ব্যবহার করা হচ্ছে যাতে সাধারণ মানুষ বা কর্তৃপক্ষ বিভ্রান্ত হন। এছাড়া, নুরুল আলম জালালাবাদ ইউনিয়নের লাইসেন্স ব্যবহার করে ঈদগাহ ইউনিয়নেও দোকান পরিচালনার কারণে বাজারে অনিয়ম ও প্রতিযোগিতার অসাম্য তৈরি হয়েছে।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের Pesticides Act, 2018 অনুযায়ী, প্রতিটি বিক্রয়কেন্দ্রের জন্য আলাদা লাইসেন্স থাকা বাধ্যতামূলক। তবে নুরুল আলম একটি লাইসেন্স ব্যবহার করে দুইটি দোকান পরিচালনা করায় তিনি আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে অভিযুক্ত।
অভিযোগ অস্বীকার করে অভিযুক্ত ব্যবসায়ী নুরুল আলম জানান, “ঈদগাঁও বাজারে আমার দুইটি ব্যাবসা প্রতিষ্ঠান। একটি বাজারের দক্ষিণে সারের ডিলার যেটি মেম্বার নুরুল আলমের সারের দোকান নামে পরিচিত অন্যটি ঈদগাঁও বাস-স্টেশনস্থ সারের দোকান যা ঈদগাঁও বীজ ভান্ডার ও এডভাইস সেন্টার নামে পরিচিত। এখানে শুধু বীজ আর কীটনাশক বিক্রি করা হয়, সার বিক্রি করা হয় না।”
এ বিষয়ে ঈদগাঁও উপজেলা কৃষি অফিসের অতিরিক্ত দায়িত্বপ্রাপ্ত কক্সবাজার সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোঃ রাসেল রানা গণমাধ্যমকে জানান, “সারের জন্য যে ব্যক্তি নির্দিষ্ট এলাকার জন্য লাইসেন্স পান, তার সেই এলাকার বাইরে ব্যবসা করার কোন অধিকার নেই। অভিযোগটি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
কৃষক ও স্থানীয় ব্যবসায়ীরা প্রশাসনকে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন, যাতে বাজারে ন্যায়পরায়ণতা ফিরিয়ে আনা যায়।

কক্সবাজার প্রতিনিধি