প্রিন্ট এর তারিখঃ সোমবার, ১ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩২

১২ অক্টোবর থেকে শুরু হচ্ছে দেশের প্রথম জাতীয় টাইফয়েড টিকাদান ক্যাম্পেইন ২০২৫

সকালের বার্তা ডেস্ক

দেশের শিশুদের টাইফয়েড রোগ থেকে সুরক্ষা দিতে আগামীকাল রোববার (১২ অক্টোবর) থেকে দেশের এই প্রথম জাতীয় টাইফয়েড টিকাদান ক্যাম্পেইন ২০২৫ শুরু হচ্ছে। স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে এক মাসব্যাপী এই কর্মসূচিতে ৯ মাস থেকে ১৫ বছরের কম বয়সী প্রায় পাঁচ কোটি শিশুকে বিনামূল্যে ইনজেকটেবল টাইফয়েড টিকা (TCV) দেওয়া হবে।

আজ শনিবার (১১ অক্টোবর) স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা মাহমুদুল হাসান এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
ক্যাম্পেইন উদ্বোধন হবে স্যার সলিমুল্লাহ মুসলিম এতিমখানা, আজিমপুর কেন্দ্র থেকে। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ উপদেষ্টা নূরজাহান বেগম।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, এই কর্মসূচির আওতায় অন্তত ৪ কোটি ৯০ লাখ শিশুকে টিকা দেওয়ার লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে। জন্মসনদবিহীন শিশুরাও টিকার আওতায় থাকবে।
অধ্যাপক ডা. মো. সায়েদুর রহমান, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বিশেষ সহকারী (প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্বে) বলেন, “বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার অনুমোদনপ্রাপ্ত এই টিকা সম্পূর্ণ নিরাপদ। ইতোমধ্যেই নেপাল, পাকিস্তানসহ আটটি দেশে এটি সফলভাবে ব্যবহার করা হয়েছে এবং কোনো বড় ধরনের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা যায়নি।”

টিকাটি ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউট তৈরি করেছে এবং বাংলাদেশ সরকার এটি পেয়েছে আন্তর্জাতিক ভ্যাকসিন সহায়তা সংস্থা গ্যাভি’র সহযোগিতায়।

টিকাদান কর্মসূচির ধাপসমূহ:

স্কুল ও মাদ্রাসা: প্রাক-প্রাথমিক থেকে নবম শ্রেণি পর্যন্ত শিক্ষার্থীরা ৩০ অক্টোবর পর্যন্ত স্কুল ও মাদ্রাসায় টিকা পাবেন।

বাড়ি বাড়ি গিয়ে: ৯ মাস থেকে ১৫ বছরের কম বয়সী অন্যান্য শিশুরা বাড়ি বাড়ি গিয়ে টিকা পাবেন।

পথশিশু: শহরের পথশিশুদের টিকাদানের দায়িত্বে থাকবে বিভিন্ন এনজিও।

ইপিআই (সম্প্রসারিত টিকাদান কর্মসূচি) প্রোগ্রামের ম্যানেজার ডা. আবুল ফজল মো. শাহাবুদ্দিন খান জানিয়েছেন, প্রথম ১০ দিনে স্কুল ও মাদ্রাসা কেন্দ্রগুলোতে ক্যাম্প পরিচালিত হবে এবং পরবর্তী ৮ দিনে ইপিআই সেন্টারে কার্যক্রম চলবে।

অভিভাবকরা তাদের সন্তানদের নিবন্ধন করতে পারেন https://vaxepi.gov.bd/registration/tcv ওয়েবসাইটে ১৭ সংখ্যার জন্মনিবন্ধন নম্বর ব্যবহার করে।
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় আশা করছে, এই উদ্যোগ সফল হলে শিশুদের টাইফয়েড প্রতিরোধে বাংলাদেশ একটি নতুন অধ্যায় সূচনা করবে।

প্রিন্ট করুন