জেলা নির্বাচন অফিস সূত্রে জানা যায়, আলম মিয়া নামে পরিচয় দিয়ে এনআইডির জন্য আবেদন করতে আসেন এ ব্যক্তি। তিনি তার নাম উল্লেখ করেন আলী। ভোটার ঠিকানায় লিখেন শেরপুর পৌরসভার কসবা মোল্লাপাড়া ও শিবুত্তর এলাকা।
তবে তার কথাবার্তা ও নথিপত্র যাচাইয়ের সময় কর্মকর্তাদের সন্দেহ হলে বিস্তারিত জিজ্ঞাসাবাদে তিনি নিজেকে রোহিঙ্গা বলে স্বীকার করেন। পরে তারা জানতে পারে, তার আসল নাম মো. আমিন। পিতা জাহিদ হোসেন ও মাতা গুলবাহার। তিনি কক্সবাজারের উখিয়ার টাংহালি রোহিঙ্গা ক্যাম্পের বাসিন্দা এবং মূলত মিয়ানমারের নাগরিক।
এ বিষয়ে শেরপুরের অতিরিক্ত জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. সাইফুল ইসলাম জানান, সন্দেহজনক কাগজপত্র দেখে ও কথা শুনে আমরা জিজ্ঞাসাবাদ করি। পরে তিনি নিজেই রোহিঙ্গা পরিচয় স্বীকার করেন। তাকে সদর থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
শেরপুর সদর উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. ফয়জুর রহমান জানান, জাতীয় পরিচয়পত্রের জন্য প্রয়োজনীয় নথি যাচাইয়ের সময় তার কথাবার্তা অসঙ্গত মনে হয়। পরে আসল পরিচয় উদঘাটন করা সম্ভব হয়।

শেরপুর প্রতিনিধিঃ