সোমবার, ১ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩২
সোমবার, ১ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩২

পঞ্চগড়ে মাদরাসার পরিচালক ও সহ-সভাপতির বিরুদ্ধে শিকার্থীদের দিয়ে জমি দখলের অভিযোগ..

একেএম বজলুর রহমান, পঞ্চগড় প্রতিনিধি প্রকাশিত: বুধবার, ১৭ সেপ্টেম্বর, ২০২৫, ৯:০৯ পিএম
পঞ্চগড়ে মাদরাসার পরিচালক ও সহ-সভাপতির বিরুদ্ধে শিকার্থীদের দিয়ে জমি দখলের অভিযোগ..

Oplus_16908288

পঞ্চগড়ের দেবীগঞ্জ উপজেলায় জমি দখলের উদ্দেশ্যে কোমলমতি মাদরাসা শিক্ষার্থীদের ব্যবহারের অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় একটি মাদরাসার পরিচালক ও সহ-সভাপতির বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক ক্ষোভ সৃষ্টি হয়েছে এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ঘটনাটির ভিডিও ছড়িয়ে পড়েছে।
গত সোমবার (১৫ সেপ্টেম্বর) বেলা ১১টার দিকে উপজেলার চিলাহাটি ইউনিয়নের ভাউলাগঞ্জ বাজার সংলগ্ন ভাউলাগঞ্জ জামিয়া রহমানিয়া মাদ্রাসা লিল্লাহ বোর্ডিং ও এতিমখানা সংলগ্ন এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
অভিযোগ অনুযায়ী, মাদরাসা পরিচালক হাফেজ মাওলানা নুরুল আলম সফিক ও সহ-সভাপতি মমিনুল হক প্রামাণিকের নির্দেশে শিক্ষার্থীরা জমির একটি টিন শেড ঘর ও ঘর সংলগ্ন দেয়াল হাতুড়ি দিয়ে ভেঙে ফেলে।
এসময় ঘরের টিন ও ইট সরিয়ে ফেলা হয়। শিক্ষার্থীদের লাঠিসোটা হাতে টিনসেড ঘরে ও দেয়ালে আঘাত করতে দেখা গেছে—যা ইতোমধ্যে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে।
সরেজমিন ও নথিপত্র থেকে জানা যায়, ১৯৮৫ সালে সিরাজুল ইসলাম প্রামাণিক ৪৩৬ দাগে ১ একর ৪৬ শতক জমি ক্রয় করেন। পরবর্তীতে রেকর্ডভুক্ত হয় ১ একর জমি। এর মধ্যে ৪০ শতক ছোট ছেলে মনিরুজ্জামান মানিককে দেন তিনি। এই জমিতেই মানিকের গুদামঘর, বাড়ি ও বিভিন্ন স্থাপনা রয়েছে।
অভিযোগ করা হয়, এই জমির একটি অংশ দখলে নিতেই সোমবারের ঘটনাটি ঘটানো হয়। এমনকি সেখানে বসবাসরত এক ব্যক্তিকে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ঘর ভেঙে চলে যেতে আল্টিমেটামও দেওয়া হয়েছে।
জমির মালিক মনিরুজ্জামান মানিক বলেন, আমার বাবা আমার নামে ৪০ শতক জমি লিখে দিয়েছেন। এখন বড় ভাই মমিনুল কোনো প্রকার মালিকানা ছাড়াই দখল নিতে চাইছে। হুজুর ও মাদরাসার ছাত্রদের দিয়ে আমার ঘর ভাঙচুর করানো হয়েছে। এতে আমার প্রচুর ক্ষতি হয়েছে। আমি এর সঠিক বিচার চাই।
স্থানীয় এক নারী শরিফা বেগম বলেন, মাদরাসার হুজুররা ছাত্রদের বলছিল ভাঙো, ভাঙো—আর বাচ্চারা ভাঙছিল। কোমলমতি শিক্ষার্থীদের এভাবে ব্যবহার করা কখনোই ঠিক হয়নি। ছোট বাচ্চারা যদি এভাবে সহিংসতা শিখে, তাহলে ভবিষ্যতে তারা কী শিখবে?”
অভিযুক্ত সহ-সভাপতি মমিনুল হক প্রামাণিক দাবি করেন, “আমার বাবা জমি মাদরাসাকে দিয়েছেন। শিক্ষার্থীরা শুধু আবর্জনা পরিষ্কার করছিল। কেউ হামলা করেনি, বরং তারাই আমাদের উপর হামলা করেছে।
মাদরাসার পরিচালক হাফেজ মাওলানা নুরুল আলম সফিক বলেন, মাদরাসার জন্য রান্নাঘর দরকার। মমিনুল সাহেব কিছু জমি দিয়েছেন, শিক্ষার্থীরা সেটি পরিষ্কার করছিল। কিন্তু একটি চক্র দ্বীনি শিক্ষার বিরুদ্ধে কাজ করছে। জমির সব কাগজপত্র আমাদের কাছে আছে, যাচাই করে যার প্রাপ্য তাকে দেওয়া হোক।
অভিযুক্ত পরিচালক নুরুল আলম সফিকের বিরুদ্ধে পূর্বেও নানা অভিযোগ রয়েছে। তিনি স্থানীয়ভাবে আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গেও জড়িত ছিলেন। গত ৫ আগস্ট এক সংঘর্ষে তিনি ছাত্র জনতার তোপের মুখে পড়েন এবং এক বিএনপি নেতার আঙুল কামড়ে ছিড়ে নিয়ে আহত করার অভিযোগও ওঠে তার বিরুদ্ধে।
জমি দখলে কোমলমতি শিক্ষার্থীদের ব্যবহার নিয়ে স্থানীয়দের মধ্যে ক্ষোভ দানা বেঁধেছে। ভুক্তভোগী পরিবার ন্যায়বিচারের দাবি জানিয়েছেন। অন্যদিকে মাদরাসা কর্তৃপক্ষ নিজেদের নির্দোষ দাবি করে জমির কাগজপত্র যাচাইয়ের আহ্বান জানিয়েছে

খুলনা জর্জ কোটের সামনে দুজনকে গুলি করে হত্যা

খুলনা মহানগর প্রতিনিধি প্রকাশিত: রবিবার, ৩০ নভেম্বর, ২০২৫, ৮:১৯ পিএম
খুলনা জর্জ কোটের সামনে দুজনকে গুলি করে হত্যা

খুলনা মহানগর দায়রা জজ আদালতের প্রধান ফটকের বাইরে দিনের বেলায় সশস্ত্র হামলায় দুই ব্যক্তি নিহত হয়েছেন।

রোববার দুপুর প্রায় সাড়ে ১২টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। তথ্যটি নিশ্চিত করেছেন খুলনা সদর থানার ওসি শফিকুল ইসলাম। নিহতরা হলেন—ফজলে রাব্বি ওরফে রাজন এবং হাসিব হাওলাদার।

প্রত্যক্ষদর্শীদের বর্ণনা অনুযায়ী, জামিনে থাকা এই দুই ব্যক্তি সেদিন আদালতে হাজিরা শেষে ফটকের সামনে মোটরসাইকেল রেখে পাশের চায়ের দোকানে দাঁড়ান। ঠিক সেই সময় চার–পাঁচজন অস্ত্রধারী হেঁটে এসে তাঁদের লক্ষ্য করে গুলি চালায়।

গুলিবিদ্ধ হয়ে দুজন মাটিতে লুটিয়ে পড়লে দুর্বৃত্তরা চাপাতি দিয়ে আবারও হামলা চালিয়ে দ্রুত এলাকা থেকে পালিয়ে যায়। গুরুতর আহত অবস্থায় তাঁদের উদ্ধার করে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

গুলিবিদ্ধ হাসিবের ভাই শাকিল হাওলাদার জানান, সম্প্রতি একটি অস্ত্র মামলায় হাজিরা দিতে আদালতে এসেছিলেন হাসিব।

খুলনা মহানগর পুলিশের খুলনা জোনের সহকারী কমিশনার শিহাব করিম ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে জানান, হামলার কারণ ও জড়িত ব্যক্তিদের শনাক্তে তদন্ত চলছে। তদন্ত শেষে বিস্তারিত জানানো হবে।

দেবীগঞ্জে গনশুনানিতে সাধারন মানুষের অভিযোগ শুনে সমাধানের আশ্বাস দিলেন জেলা প্রশাসক

পঞ্চগড় প্রতিনিধি প্রকাশিত: রবিবার, ৩০ নভেম্বর, ২০২৫, ৫:২১ পিএম
Shares14
অ- অ+
দেবীগঞ্জে গনশুনানিতে সাধারন মানুষের অভিযোগ শুনে সমাধানের আশ্বাস দিলেন জেলা প্রশাসক

oppo_2

আপনি কেমন জেলা প্রশাসক চান, জেলা প্রশাসকের কাছে আপনার প্রত্যাশা কি, জেলা প্রশাসকের কাছে আপনার কি কি অভিযোগ রয়েছে তা নিয়ে পঞ্চগড়ের দেবীগঞ্জে গনশুনানী অনুষ্ঠিত হয়েছে।

৩০ নভেম্বর রবিবার দুপুরে দেবীগঞ্জ উপজেলা পরিষদের হলরুমে সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত এ গনশুনানি অনুষ্ঠিত হয়।
পঞ্চগড়ের জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট কাজী মোঃ সায়েমুজ্জামান গনশুনানীতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।
গনশুনানীতে জেলা প্রশাসক কাজী মোঃ সায়েমুজ্জামানের নিকট গণশুনানি কালে দেবীগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান, ইউপি সদস্য, জনপ্রতিনিধি, মিডিয়াকর্মী, বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ, সুশীল সমাজের প্রতিনিধি, বীরমুক্তিযোদ্ধা, বিভিন্ন সরকারি বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধান শিক্ষক ও উপজেলার সাধারন লোকজন উপস্থিত ছিলেন।
গনশুনানীতে তারা দেবীগঞ্জে বাস টার্মিনালের অভাব, নদী থেকে অবৈধ বালু উত্তোলন, উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে থাকা খাসজমি দখল করে বসত নির্মান, সীমান্তবর্তী এলাকা দিয়ে মাদক প্রবেশ, ভারতীয় গরু পাচার করে নিয়ে আসা, উপজেলা হাসপাতালে পর্যাপ্ত চিকিৎসক সংকট, নোংরা পরিবেশ, বিভিন্ন পাকা রাস্তার উপরে যত্রতত্র গাড়ি পার্কিং করে রাখা, সীমান্তবর্তী এলাকায় চোরাকারবারি বেড়ে যাওয়া, বিভিন্ন রাস্তাঘাটের সমস্যাসহ তাদের জায়গা জমির বিভিন্ন বিষয় সমস্যা নিয়ে অভিযোগ তুলে ধরেন।
জেলা প্রশাসক কাজী মোঃ সায়েমুজ্জামান তাদের প্রত্যেকের অভিযোগ শুনে সংশ্লিষ্ট বিভাগের মাধ্যমে তার সমাধানেরও আশ্বাস দিলেন। সমাধানের ব্যাপারে তিনি সহযোগিতাও করবেন বলে জানান।
দেবীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাহমুদুল হাসানের সভাপতিত্ব করেন। দেবীগঞ্জ উপজেলা প্রশাসন এ গনশুনানির আয়োজন ।
গনশুনানীতে উপস্থিত ছিলেন দেবীগঞ্জ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা নাঈম মোর্শেদ, উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ সুমন ধর, উপজেলা প্রানী সম্পদ কর্মকর্তা হুমায়ুন কবির, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার (ভারপ্রাপ্ত) সাইফুল ইসলাম, প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার আজমল হোসেন, উপজেলা পরিসংখ্যান কর্মকর্তা আমীন আহসান, উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক সুদেব কুমার দাস, উপজেলা সমবায় কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন।

বেগম খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনায় শাহজাদপুরে বিএনপির দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত।

মো: ইউনুছ আলী, জেলা প্রতিনিধি সিরাজগঞ্জ  প্রকাশিত: রবিবার, ৩০ নভেম্বর, ২০২৫, ১:৪০ পিএম
বেগম খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনায় শাহজাদপুরে বিএনপির দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত।

Oplus_131072

সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার দ্রুত সুস্থতা কামনায় শাহজাদপুরে দোয়া ও মিলাদ মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার বিকেলে পৌরসভার খঞ্জনদিয়া এলাকায় ড. এম. এ. মুহিতের নিজ বাসভবনে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি, শাহজাদপুর, সিরাজগঞ্জের উদ্যোগে এ মাহফিলের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ড. এম. এ. মুহিত।
দোয়া মাহফিলকে ঘিরে বিকেল থেকেই বিএনপি, যুবদল, ছাত্রদল, স্বেচ্ছাসেবকদল, ওলামাদলসহ অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মী এবং সাধারণ মানুষের ঢল নামে। স্থানীয় আলেমগণ মিলাদ পরিচালনা করেন এবং বেগম খালেদা জিয়ার রোগমুক্তি, দীর্ঘায়ু ও সুস্থতা কামনায় বিশেষ মোনাজাত করেন। এসময় দেশ ও জাতির কল্যাণ কামনাও করা হয়।
মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ড. এম. এ. মুহিত বলেন,
“বেগম খালেদা জিয়ার সুস্থতা আজ দেশের মানুষের প্রার্থনা। তিনি জনগণের প্রিয় নেত্রী। আমরা তাঁর দ্রুত আরোগ্য কামনায় আন্তরিকভাবে আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করছি।”
তিনি আরও বলেন,
“অসুস্থ মানুষের জন্য দোয়া করা প্রতিটি মুসলমানের দায়িত্ব। এই মাহফিল মানবিকতার একটি প্রকাশ।”
আয়োজনে অংশগ্রহণকারীরা জানান—
“বেগম খালেদা জিয়া আমাদের আশা, শক্তি এবং গণতন্ত্রের প্রতীক। তাঁর অসুস্থতার খবর শুনে আমরা অত্যন্ত ব্যথিত। তাঁর দ্রুত সুস্থতা কামনায় আজ আমরা সবাই একত্রিত হয়েছি। আল্লাহ যেন তাঁকে দ্রুত সম্পূর্ণ সুস্থ করে আমাদের মাঝে ফিরিয়ে দেন—এটাই আমাদের আন্তরিক দোয়া।”
×