সোমবার, ১ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩২
সোমবার, ১ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩২

কমিটির অবহেলায় প্রতিশ্রুতির এক বছরেও বাস্তবায়িত হয়নি পরীক্ষায় কোডিং ব্যবস্থা

নোবিপ্রবিতে প্রশাসনিক গাফিলতায় আটকে  আছে পরীক্ষার খাতা মূল্যায়নের  ‘কোডিং সিস্টেম’

মো: নাঈমুর রহমান নোবিপ্রবি প্রতিনিধি প্রকাশিত: রবিবার, ৯ নভেম্বর, ২০২৫, ৯:৫৭ পিএম
নোবিপ্রবিতে প্রশাসনিক গাফিলতায় আটকে  আছে পরীক্ষার খাতা মূল্যায়নের  ‘কোডিং সিস্টেম’

পরীক্ষায় স্বচ্ছতা ও মেধাভিত্তিক মূল্যায়ন নিশ্চিতের লক্ষ্যে নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (নোবিপ্রবি) পরীক্ষামূলকভাবে চালু হওয়া ‘কোডিং সিস্টেম’ এখন প্রশাসনিক অবহেলা ও দীর্ঘসূত্রিতার শিকার। এক বছর আগে তিনটি বিভাগে সফলভাবে পরীক্ষামূলক প্রয়োগের পরও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের দায়সারাভাব ও গঠিত কমিটির নিষ্ক্রিয়তায় এই গুরুত্বপূর্ণ উদ্যোগের পূর্ণাঙ্গ বাস্তবায়ন এখনো অধরাই রয়ে গেছে।

এক বছর আগে নোবিপ্রবি প্রশাসন ঘোষণা দিয়েছিল, পরীক্ষামূলকভাবে সফল প্রমাণিত হলে দ্রুত অন্যান্য বিভাগেও কোডিং সিস্টেম চালু করা হবে। এই লক্ষ্যে গত বছরের ২৬ এপ্রিল বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার অধ্যাপক ড. মো. হানিফ মুরাদকে আহ্বায়ক করে চার সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়। কিন্তু সময় গড়ালেও কমিটির কার্যক্রমের দৃশ্যমান কোনো অগ্রগতি নেই।

‘কোডিং সিস্টেম’-এর মূল উদ্দেশ্য হলো পরীক্ষার্থীর নাম বা রোল নম্বরের পরিবর্তে নির্দিষ্ট কোড ব্যবহার করে উত্তরপত্র মূল্যায়ন করা, যাতে পরীক্ষক খাতাধারীর পরিচয় জানতে না পারেন। এতে পক্ষপাতহীন ও স্বচ্ছ মূল্যায়নের পরিবেশ তৈরি হবে বলে নোবিপ্রবি প্রশাসন জানিয়েছিল।

শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগে মার্ক টেম্পারিং, স্বজনপ্রীতি ও পক্ষপাতদুষ্ট মূল্যায়নের কারণে প্রকৃত মেধাবীরা প্রায়ই সঠিক মূল্যায়ন থেকে বঞ্চিত হন। এসব অনিয়ম রোধে কোডিং সিস্টেম চালুর প্রতিশ্রুতি আশার আলো দেখালেও বাস্তবে তা আর এগোয়নি।

বিষয়টি নিয়ে ‘NSTU Result Creator’ সফটওয়্যারে মার্কস ইনপুট মডিউল কমিটির আহ্বায়ক ও বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার অধ্যাপক  ড. মো. হানিফ মুরাদ বলেন, “পরীক্ষামূলকভাবে ব্যবহৃত কোডিং সিস্টেমটি এখনো পরিপূর্ণ নয়। বিদ্যমান সফটওয়্যার ও নতুন কোডিং সফটওয়্যারের মধ্যে সমন্বয় সাধনে কিছু জটিলতা রয়েছে। তবে আশা করছি, আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই সব বিভাগে কোডিং সিস্টেম চালু করা যাবে।”

তবে শিক্ষার্থীরা প্রশাসনের এই ‘কয়েক সপ্তাহ’ প্রতিশ্রুতিতে সন্দেহ প্রকাশ করেছেন। তাদের আশঙ্কা, আগের মতোই এই সময়সীমা আবারও বছরজুড়ে দীর্ঘায়িত হতে পারে।

এপ্লাইড কেমিস্ট্রি অ্যান্ড কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং (ACCE) বিভাগের ২০২০–২১ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী মেহেদী হাসান বলেন, “প্রশাসন বারবার প্রতিশ্রুতি দিলেও বাস্তবায়নে ব্যর্থ হয়েছে। ন্যায্য মূল্যায়ন নিশ্চিত করতে দ্রুত কোডিং সিস্টেম চালু করা জরুরি।”

আইন বিভাগের ২০২২–২৩ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী নাহিদ ইসলাম বলেন, “কোডিং সিস্টেম চালু হলে শিক্ষার্থীরা মার্ক টেম্পারিং ও শিক্ষকদের রোষানল থেকে মুক্তি পাবে।”

প্রশাসনিক গাফিলতি অব্যাহত থাকলে এবং দ্রুত এই ব্যবস্থা চালু না হলে মার্ক টেম্পারিং ও স্বজনপ্রীতির শিকার হয়ে প্রকৃত মেধাবীরা আবারও বঞ্চিত হবেন সঠিক মূল্যায়ন থেকে। দেখার বিষয়, নোবিপ্রবি প্রশাসন কি সত্যিই কোডিং সিস্টেম বাস্তবায়নে দ্রুত পদক্ষেপ নেবে, নাকি এই গুরুত্বপূর্ণ উদ্যোগটি আগের মতোই প্রতিশ্রুতি ও ফাইলের স্তূপে আটকে থাকবে।

খুলনা জর্জ কোটের সামনে দুজনকে গুলি করে হত্যা

খুলনা মহানগর প্রতিনিধি প্রকাশিত: রবিবার, ৩০ নভেম্বর, ২০২৫, ৮:১৯ পিএম
খুলনা জর্জ কোটের সামনে দুজনকে গুলি করে হত্যা

খুলনা মহানগর দায়রা জজ আদালতের প্রধান ফটকের বাইরে দিনের বেলায় সশস্ত্র হামলায় দুই ব্যক্তি নিহত হয়েছেন।

রোববার দুপুর প্রায় সাড়ে ১২টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। তথ্যটি নিশ্চিত করেছেন খুলনা সদর থানার ওসি শফিকুল ইসলাম। নিহতরা হলেন—ফজলে রাব্বি ওরফে রাজন এবং হাসিব হাওলাদার।

প্রত্যক্ষদর্শীদের বর্ণনা অনুযায়ী, জামিনে থাকা এই দুই ব্যক্তি সেদিন আদালতে হাজিরা শেষে ফটকের সামনে মোটরসাইকেল রেখে পাশের চায়ের দোকানে দাঁড়ান। ঠিক সেই সময় চার–পাঁচজন অস্ত্রধারী হেঁটে এসে তাঁদের লক্ষ্য করে গুলি চালায়।

গুলিবিদ্ধ হয়ে দুজন মাটিতে লুটিয়ে পড়লে দুর্বৃত্তরা চাপাতি দিয়ে আবারও হামলা চালিয়ে দ্রুত এলাকা থেকে পালিয়ে যায়। গুরুতর আহত অবস্থায় তাঁদের উদ্ধার করে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

গুলিবিদ্ধ হাসিবের ভাই শাকিল হাওলাদার জানান, সম্প্রতি একটি অস্ত্র মামলায় হাজিরা দিতে আদালতে এসেছিলেন হাসিব।

খুলনা মহানগর পুলিশের খুলনা জোনের সহকারী কমিশনার শিহাব করিম ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে জানান, হামলার কারণ ও জড়িত ব্যক্তিদের শনাক্তে তদন্ত চলছে। তদন্ত শেষে বিস্তারিত জানানো হবে।

দেবীগঞ্জে গনশুনানিতে সাধারন মানুষের অভিযোগ শুনে সমাধানের আশ্বাস দিলেন জেলা প্রশাসক

পঞ্চগড় প্রতিনিধি প্রকাশিত: রবিবার, ৩০ নভেম্বর, ২০২৫, ৫:২১ পিএম
Shares14
অ- অ+
দেবীগঞ্জে গনশুনানিতে সাধারন মানুষের অভিযোগ শুনে সমাধানের আশ্বাস দিলেন জেলা প্রশাসক

oppo_2

আপনি কেমন জেলা প্রশাসক চান, জেলা প্রশাসকের কাছে আপনার প্রত্যাশা কি, জেলা প্রশাসকের কাছে আপনার কি কি অভিযোগ রয়েছে তা নিয়ে পঞ্চগড়ের দেবীগঞ্জে গনশুনানী অনুষ্ঠিত হয়েছে।

৩০ নভেম্বর রবিবার দুপুরে দেবীগঞ্জ উপজেলা পরিষদের হলরুমে সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত এ গনশুনানি অনুষ্ঠিত হয়।
পঞ্চগড়ের জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট কাজী মোঃ সায়েমুজ্জামান গনশুনানীতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।
গনশুনানীতে জেলা প্রশাসক কাজী মোঃ সায়েমুজ্জামানের নিকট গণশুনানি কালে দেবীগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান, ইউপি সদস্য, জনপ্রতিনিধি, মিডিয়াকর্মী, বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ, সুশীল সমাজের প্রতিনিধি, বীরমুক্তিযোদ্ধা, বিভিন্ন সরকারি বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধান শিক্ষক ও উপজেলার সাধারন লোকজন উপস্থিত ছিলেন।
গনশুনানীতে তারা দেবীগঞ্জে বাস টার্মিনালের অভাব, নদী থেকে অবৈধ বালু উত্তোলন, উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে থাকা খাসজমি দখল করে বসত নির্মান, সীমান্তবর্তী এলাকা দিয়ে মাদক প্রবেশ, ভারতীয় গরু পাচার করে নিয়ে আসা, উপজেলা হাসপাতালে পর্যাপ্ত চিকিৎসক সংকট, নোংরা পরিবেশ, বিভিন্ন পাকা রাস্তার উপরে যত্রতত্র গাড়ি পার্কিং করে রাখা, সীমান্তবর্তী এলাকায় চোরাকারবারি বেড়ে যাওয়া, বিভিন্ন রাস্তাঘাটের সমস্যাসহ তাদের জায়গা জমির বিভিন্ন বিষয় সমস্যা নিয়ে অভিযোগ তুলে ধরেন।
জেলা প্রশাসক কাজী মোঃ সায়েমুজ্জামান তাদের প্রত্যেকের অভিযোগ শুনে সংশ্লিষ্ট বিভাগের মাধ্যমে তার সমাধানেরও আশ্বাস দিলেন। সমাধানের ব্যাপারে তিনি সহযোগিতাও করবেন বলে জানান।
দেবীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাহমুদুল হাসানের সভাপতিত্ব করেন। দেবীগঞ্জ উপজেলা প্রশাসন এ গনশুনানির আয়োজন ।
গনশুনানীতে উপস্থিত ছিলেন দেবীগঞ্জ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা নাঈম মোর্শেদ, উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ সুমন ধর, উপজেলা প্রানী সম্পদ কর্মকর্তা হুমায়ুন কবির, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার (ভারপ্রাপ্ত) সাইফুল ইসলাম, প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার আজমল হোসেন, উপজেলা পরিসংখ্যান কর্মকর্তা আমীন আহসান, উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক সুদেব কুমার দাস, উপজেলা সমবায় কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন।

বেগম খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনায় শাহজাদপুরে বিএনপির দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত।

মো: ইউনুছ আলী, জেলা প্রতিনিধি সিরাজগঞ্জ  প্রকাশিত: রবিবার, ৩০ নভেম্বর, ২০২৫, ১:৪০ পিএম
বেগম খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনায় শাহজাদপুরে বিএনপির দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত।

Oplus_131072

সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার দ্রুত সুস্থতা কামনায় শাহজাদপুরে দোয়া ও মিলাদ মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার বিকেলে পৌরসভার খঞ্জনদিয়া এলাকায় ড. এম. এ. মুহিতের নিজ বাসভবনে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি, শাহজাদপুর, সিরাজগঞ্জের উদ্যোগে এ মাহফিলের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ড. এম. এ. মুহিত।
দোয়া মাহফিলকে ঘিরে বিকেল থেকেই বিএনপি, যুবদল, ছাত্রদল, স্বেচ্ছাসেবকদল, ওলামাদলসহ অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মী এবং সাধারণ মানুষের ঢল নামে। স্থানীয় আলেমগণ মিলাদ পরিচালনা করেন এবং বেগম খালেদা জিয়ার রোগমুক্তি, দীর্ঘায়ু ও সুস্থতা কামনায় বিশেষ মোনাজাত করেন। এসময় দেশ ও জাতির কল্যাণ কামনাও করা হয়।
মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ড. এম. এ. মুহিত বলেন,
“বেগম খালেদা জিয়ার সুস্থতা আজ দেশের মানুষের প্রার্থনা। তিনি জনগণের প্রিয় নেত্রী। আমরা তাঁর দ্রুত আরোগ্য কামনায় আন্তরিকভাবে আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করছি।”
তিনি আরও বলেন,
“অসুস্থ মানুষের জন্য দোয়া করা প্রতিটি মুসলমানের দায়িত্ব। এই মাহফিল মানবিকতার একটি প্রকাশ।”
আয়োজনে অংশগ্রহণকারীরা জানান—
“বেগম খালেদা জিয়া আমাদের আশা, শক্তি এবং গণতন্ত্রের প্রতীক। তাঁর অসুস্থতার খবর শুনে আমরা অত্যন্ত ব্যথিত। তাঁর দ্রুত সুস্থতা কামনায় আজ আমরা সবাই একত্রিত হয়েছি। আল্লাহ যেন তাঁকে দ্রুত সম্পূর্ণ সুস্থ করে আমাদের মাঝে ফিরিয়ে দেন—এটাই আমাদের আন্তরিক দোয়া।”
×