সোমবার, ১ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩২
সোমবার, ১ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩২

পঞ্চগড়ে গার্লস স্কুলের ছাত্রীকে যৌন হয়রানির মামলায় শিক্ষকের ১০ বছর কারাদন্ড

একেএম বজলুর রহমান, পঞ্চগড় প্রতিনিধি প্রকাশিত: বুধবার, ১০ সেপ্টেম্বর, ২০২৫, ৫:৪১ পিএম
Shares35
অ+ অ-
পঞ্চগড়ে গার্লস স্কুলের ছাত্রীকে যৌন হয়রানির মামলায় শিক্ষকের ১০ বছর কারাদন্ড
পঞ্চগড় জেলা শহরের এক গার্লস স্কুলের নবম শ্রেণির এক ছাত্রীকে যৌন হয়রানির অভিযোগে আটক হওয়া গনিত বিষয়ের শিক্ষক মোস্তাফিজুর রহমানকে (৩২) কে ১০ বছরের কারাদন্ড দেয়া হয়েছে। তাকে সাজা দিয়ে আদালত রায়ও ঘোষণা করেছে। ১০ সেপ্টেম্বর বুধবার পঞ্চগড় জেলা ও দায়রা জজ আদালতে এ রায় দেয়া হয়। নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মাসুদ পারভেজ এ রায় ঘোষণা করেন।
রায়ে অভিযুক্ত গনিত বিষয়ের শিক্ষক মোস্তাফিজুর রহমানকে ১০ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড ও ২০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড দেওয়া হয়। অর্থদণ্ড অনাদায়ে আরও ৬ মাসের বিনাশ্রম কারাদন্ড দেয়া।
এ মামলার রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ও পঞ্চগড় জেলা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের স্পেশাল পিপি জাকির হোসেন বলেন পঞ্চগড়ের বহুল আলোচিত ও চাঞ্চল্যকর এই মামলার রায় প্রকাশ করা হয়েছে। আদালত আসামিকে ১০ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড ও ২০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড দেওয়া হয়। অর্থদণ্ড অনাদায়ে আরও ৬ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন। আমরা রাষ্ট্রপক্ষ এ রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করছি।
গত ১৬ এপ্রিল ২০২৫, বুধবার বিকেলে জেলা শহরের মসজিদপাড়া এলাকায় নিজস্ব কোচিং সেন্টারে নবম শ্রেণির এক ছাত্রীকে যৌন হয়রানির অভিযোগ ওঠে শিক্ষক মোস্তাফিজুর রহমানের বিরুদ্ধে।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, দুপুর দেড়টার দিকে তিনি পাঁচজন ছাত্রীকে নিয়ে গণিতের ক্লাস নেন। পরে অন্যরা চলে গেলে এক ছাত্রীকে একা পেয়ে যৌন হয়রানি শুরু করেন। স্থানীয়রা বিষয়টি টের পেয়ে মোবাইলে ভিডিও ধারণ করেন এবং হাতেনাতে আটক করে গণধোলাই দিয়ে জেলা প্রশাসকের কার্যালয় চত্বরে নিয়ে যান। সেখানে উত্তেজিত জনতা পুনরায় ওই শিক্ষক গণধোলাই দিয়ে পঞ্চগড় সদর থানার পুলিশের নিকট সোপর্দ করে। পরে পঞ্চগড় সদর থানা পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে থানায় নেয়।
আসামি মোস্তাফিজুর রহমান ঠাকুরগাঁও জেলার সদর উপজেলার চিলারং ইউনিয়নের পাহাড়ডাঙ্গা গ্রামের বাসিন্দা। তিনি পঞ্চগড় শহরের পঞ্চগড় সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের গণিত বিভাগের শিক্ষক ছিলেন এবং শহরের একটি ভাড়া বাসায় পরিবার নিয়ে বসবাস করতেন।
এর আগেও তার বিরুদ্ধে বিদ্যালয়ের একাধিক ছাত্রীকে যৌন হয়রানির অভিযোগ উঠেছিল। এমনকি জেলা প্রশাসকের কাছে লিখিত অভিযোগও করা হয়েছিল। তবে কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি বলে স্থানীয়রা অভিযোগ করেন।
স্থানীয় প্রত্যক্ষদর্শী আসিফ আহমেদ বলেন, অনেক আগে থেকেই আমরা অভিযোগ পেতাম যে তিনি ছাত্রীদের যৌন হয়রানি করেন। বুধবার হাতেনাতে ধরা পড়ায় তাকে জনতা আটক করে প্রশাসকের কার্যালয়ে নিয়ে যায়।
মজাহারুল ইসলাম সেলিম বলেন, শিক্ষকেরা জাতি গড়ার কারিগড়। তারাই যদি এমন ন্যাক্কার জনক কাজ করেন তবে সমাজে অনৈতিকতা বেড়ে যাবে।
মোকাদ্দসুর রহমান সান বলেন, আগেও তার বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছিল, কিন্তু ব্যবস্থা নেয়া হয়নি।
পঞ্চগড় সদর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) এইচএসএম সোহরাওয়ার্দী বলেন, ছাত্রীকে যৌন হয়রানির অভিযোগে আটক শিক্ষককে আমাদের হাতে সোপর্দ করা হয়েছিল। আলামত জব্দ ও ভুক্তভোগী পরিবারের সাথে কথা বলে আমরা মামলা প্রক্রিয়া সম্পন্ন করি। বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক আছে।
পঞ্চগড়ে আলোচিত এ ঘটনায় শিক্ষক মোস্তাফিজুর রহমানের বিরুদ্ধে আদালতের রায় শিক্ষার্থী-অভিভাবকসহ স্থানীয়দের মধ্যে স্বস্তি এনেছে। জনতার দাবি, এ রায় ভবিষ্যতে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যৌন হয়রানির মতো ঘটনার পুনরাবৃত্তি রোধে দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে।

খুলনা জর্জ কোটের সামনে দুজনকে গুলি করে হত্যা

খুলনা মহানগর প্রতিনিধি প্রকাশিত: রবিবার, ৩০ নভেম্বর, ২০২৫, ৮:১৯ পিএম
খুলনা জর্জ কোটের সামনে দুজনকে গুলি করে হত্যা

খুলনা মহানগর দায়রা জজ আদালতের প্রধান ফটকের বাইরে দিনের বেলায় সশস্ত্র হামলায় দুই ব্যক্তি নিহত হয়েছেন।

রোববার দুপুর প্রায় সাড়ে ১২টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। তথ্যটি নিশ্চিত করেছেন খুলনা সদর থানার ওসি শফিকুল ইসলাম। নিহতরা হলেন—ফজলে রাব্বি ওরফে রাজন এবং হাসিব হাওলাদার।

প্রত্যক্ষদর্শীদের বর্ণনা অনুযায়ী, জামিনে থাকা এই দুই ব্যক্তি সেদিন আদালতে হাজিরা শেষে ফটকের সামনে মোটরসাইকেল রেখে পাশের চায়ের দোকানে দাঁড়ান। ঠিক সেই সময় চার–পাঁচজন অস্ত্রধারী হেঁটে এসে তাঁদের লক্ষ্য করে গুলি চালায়।

গুলিবিদ্ধ হয়ে দুজন মাটিতে লুটিয়ে পড়লে দুর্বৃত্তরা চাপাতি দিয়ে আবারও হামলা চালিয়ে দ্রুত এলাকা থেকে পালিয়ে যায়। গুরুতর আহত অবস্থায় তাঁদের উদ্ধার করে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

গুলিবিদ্ধ হাসিবের ভাই শাকিল হাওলাদার জানান, সম্প্রতি একটি অস্ত্র মামলায় হাজিরা দিতে আদালতে এসেছিলেন হাসিব।

খুলনা মহানগর পুলিশের খুলনা জোনের সহকারী কমিশনার শিহাব করিম ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে জানান, হামলার কারণ ও জড়িত ব্যক্তিদের শনাক্তে তদন্ত চলছে। তদন্ত শেষে বিস্তারিত জানানো হবে।

দেবীগঞ্জে গনশুনানিতে সাধারন মানুষের অভিযোগ শুনে সমাধানের আশ্বাস দিলেন জেলা প্রশাসক

পঞ্চগড় প্রতিনিধি প্রকাশিত: রবিবার, ৩০ নভেম্বর, ২০২৫, ৫:২১ পিএম
Shares14
অ- অ+
দেবীগঞ্জে গনশুনানিতে সাধারন মানুষের অভিযোগ শুনে সমাধানের আশ্বাস দিলেন জেলা প্রশাসক

oppo_2

আপনি কেমন জেলা প্রশাসক চান, জেলা প্রশাসকের কাছে আপনার প্রত্যাশা কি, জেলা প্রশাসকের কাছে আপনার কি কি অভিযোগ রয়েছে তা নিয়ে পঞ্চগড়ের দেবীগঞ্জে গনশুনানী অনুষ্ঠিত হয়েছে।

৩০ নভেম্বর রবিবার দুপুরে দেবীগঞ্জ উপজেলা পরিষদের হলরুমে সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত এ গনশুনানি অনুষ্ঠিত হয়।
পঞ্চগড়ের জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট কাজী মোঃ সায়েমুজ্জামান গনশুনানীতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।
গনশুনানীতে জেলা প্রশাসক কাজী মোঃ সায়েমুজ্জামানের নিকট গণশুনানি কালে দেবীগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান, ইউপি সদস্য, জনপ্রতিনিধি, মিডিয়াকর্মী, বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ, সুশীল সমাজের প্রতিনিধি, বীরমুক্তিযোদ্ধা, বিভিন্ন সরকারি বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধান শিক্ষক ও উপজেলার সাধারন লোকজন উপস্থিত ছিলেন।
গনশুনানীতে তারা দেবীগঞ্জে বাস টার্মিনালের অভাব, নদী থেকে অবৈধ বালু উত্তোলন, উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে থাকা খাসজমি দখল করে বসত নির্মান, সীমান্তবর্তী এলাকা দিয়ে মাদক প্রবেশ, ভারতীয় গরু পাচার করে নিয়ে আসা, উপজেলা হাসপাতালে পর্যাপ্ত চিকিৎসক সংকট, নোংরা পরিবেশ, বিভিন্ন পাকা রাস্তার উপরে যত্রতত্র গাড়ি পার্কিং করে রাখা, সীমান্তবর্তী এলাকায় চোরাকারবারি বেড়ে যাওয়া, বিভিন্ন রাস্তাঘাটের সমস্যাসহ তাদের জায়গা জমির বিভিন্ন বিষয় সমস্যা নিয়ে অভিযোগ তুলে ধরেন।
জেলা প্রশাসক কাজী মোঃ সায়েমুজ্জামান তাদের প্রত্যেকের অভিযোগ শুনে সংশ্লিষ্ট বিভাগের মাধ্যমে তার সমাধানেরও আশ্বাস দিলেন। সমাধানের ব্যাপারে তিনি সহযোগিতাও করবেন বলে জানান।
দেবীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাহমুদুল হাসানের সভাপতিত্ব করেন। দেবীগঞ্জ উপজেলা প্রশাসন এ গনশুনানির আয়োজন ।
গনশুনানীতে উপস্থিত ছিলেন দেবীগঞ্জ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা নাঈম মোর্শেদ, উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ সুমন ধর, উপজেলা প্রানী সম্পদ কর্মকর্তা হুমায়ুন কবির, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার (ভারপ্রাপ্ত) সাইফুল ইসলাম, প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার আজমল হোসেন, উপজেলা পরিসংখ্যান কর্মকর্তা আমীন আহসান, উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক সুদেব কুমার দাস, উপজেলা সমবায় কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন।

বেগম খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনায় শাহজাদপুরে বিএনপির দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত।

মো: ইউনুছ আলী, জেলা প্রতিনিধি সিরাজগঞ্জ  প্রকাশিত: রবিবার, ৩০ নভেম্বর, ২০২৫, ১:৪০ পিএম
বেগম খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনায় শাহজাদপুরে বিএনপির দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত।

Oplus_131072

সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার দ্রুত সুস্থতা কামনায় শাহজাদপুরে দোয়া ও মিলাদ মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার বিকেলে পৌরসভার খঞ্জনদিয়া এলাকায় ড. এম. এ. মুহিতের নিজ বাসভবনে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি, শাহজাদপুর, সিরাজগঞ্জের উদ্যোগে এ মাহফিলের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ড. এম. এ. মুহিত।
দোয়া মাহফিলকে ঘিরে বিকেল থেকেই বিএনপি, যুবদল, ছাত্রদল, স্বেচ্ছাসেবকদল, ওলামাদলসহ অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মী এবং সাধারণ মানুষের ঢল নামে। স্থানীয় আলেমগণ মিলাদ পরিচালনা করেন এবং বেগম খালেদা জিয়ার রোগমুক্তি, দীর্ঘায়ু ও সুস্থতা কামনায় বিশেষ মোনাজাত করেন। এসময় দেশ ও জাতির কল্যাণ কামনাও করা হয়।
মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ড. এম. এ. মুহিত বলেন,
“বেগম খালেদা জিয়ার সুস্থতা আজ দেশের মানুষের প্রার্থনা। তিনি জনগণের প্রিয় নেত্রী। আমরা তাঁর দ্রুত আরোগ্য কামনায় আন্তরিকভাবে আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করছি।”
তিনি আরও বলেন,
“অসুস্থ মানুষের জন্য দোয়া করা প্রতিটি মুসলমানের দায়িত্ব। এই মাহফিল মানবিকতার একটি প্রকাশ।”
আয়োজনে অংশগ্রহণকারীরা জানান—
“বেগম খালেদা জিয়া আমাদের আশা, শক্তি এবং গণতন্ত্রের প্রতীক। তাঁর অসুস্থতার খবর শুনে আমরা অত্যন্ত ব্যথিত। তাঁর দ্রুত সুস্থতা কামনায় আজ আমরা সবাই একত্রিত হয়েছি। আল্লাহ যেন তাঁকে দ্রুত সম্পূর্ণ সুস্থ করে আমাদের মাঝে ফিরিয়ে দেন—এটাই আমাদের আন্তরিক দোয়া।”
×